নির্মাণে উৎকর্ষতা
4.62 কিমি দীর্ঘ ও ভাল্লারপাদামের দ্বীপ থেকে উত্তর কোচির ইডাপ্পাল্লি পর্যন্ত সংযুক্ত করে ভারতের দীর্ঘতম রেলপথের সেতু নির্মাণ করে অ্যাফকনস স্বাতন্ত্র্য অর্জন করেছে। প্রকল্পটি রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং মাত্র 27 মাসে শেষ করা হয়েছিল, যেটি একটি জাতীয় রেকর্ড। যদিও নকশাটি ছিল আরভিএনএল-এর নিজস্ব, কিন্তু সেটি পরিবর্তন করার জন্য সেটিকে ইন-হাউজ প্রকল্প হিসেবে কোম্পানিটি নিজের বিশেষ জ্ঞান ব্যবহার করেছিল।
জটিল যন্ত্রপাতি ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, যেমন 2.1 কিমি দীর্ঘ কংক্রিট পাম্প করে কংক্রিট স্থাপন করা, যেটি আরেকটি জাতীয় রেকর্ড, ব্যবহার করে সেতুটি সংক্ষিপ্ততম সম্ভাব্য সময়ে নির্মিত হয়েছিল। এক মাসে প্রায় 500 মি-এর রেকর্ড গতিতে অত্যাধুনিক গার্ডার লঞ্চারের সহায়তায় সেতুটির গার্ডার স্থাপনা করা হয়েছিল। এনআরএস মালয়েশিয়া থেকে এই প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত লঞ্চিং-ট্রাসের প্রচলন করা ছিল প্রকল্প ডেলিভারির উৎকর্ষতার ক্ষেত্রে আরেকটি বিশাল উদ্ভাবন। পাইল করা ভিতের উপরে পায়ার বসিয়ে পূর্বে ঢালাই করা গার্ডারের 134টি বিস্তার সেতুটিতে রয়েছে।
চুক্তির সম্পূর্ণ সময়কাল জুড়ে কোম্পানিটি কঠোর সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া বজায় রেখেছিল। এই সাইটে বজায় রাখা সুরক্ষার মানদণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনীয় এবং কোনও দুর্ঘটনা ব্যতীত প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।
এই প্রকল্পের জন্য অ্যাফকনস ভারতীয় কংক্রিট ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে ‘2010 সালের সেরা প্রি-স্ট্রেসিং স্ট্রাকচার’, ডিঅ্যান্ডবি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ইনফ্রা অ্যাওয়ার্ডস 2011-তে ‘রেলওয়েজ বিভাগের সেরা প্রকল্প’ এবং সিএনবিসি নেটওয়ার্ক 18-এর কাছ থেকে ‘সিএনবিসি টিভি 18 এসার স্টিল পরিকাঠামো উৎকর্ষতা 2011’ পুরস্কার অর্জন করেছিল।